একাধিপত্যের শিকল ভাঙ্গনে ইসলামের ভূূমিকা: মদিনায় ন্যায় ভিত্তিক এক বাজার ব্যবস্থা উত্থানের গল্প

Insightful Ink-walk
0

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পরে যুদ্ধ-বিগ্রহ অন্যান্য সাধারণ ঘটনার কথা হয়তো আমাদের সকলেরই জানা তবে মদিনায় যুদ্ধ হতো বছরের মাত্র কয়েকটি দিন বদর ওহুদের মত বাকি সময় মুসলমানরা কি করত? এক কথায় উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় ব্যবসা ঘটনা বর্ণনা করার পূর্বে হিজরতের আগে মদিনার  পূর্বাবস্থা কি ছিল তা বর্ণনা করা জরুরী সে সময়ে  মদিনা মক্কার  অর্থনীতির দিকে তাকালে  সুস্পষ্ট পার্থক্য নজরে আসে মক্কায় ছিল কাবা, আর মক্কা ছিল আরবের কেন্দ্রে এই দুটি কারণেই মক্কা আরবের মধ্যে অন্যতম ধনী শহর ছিল কিন্তু মদিনা প্রধানত ছিল কৃষি নির্ভর অর্থনীতিযার ফলে মদিনার অর্থনীতির মক্কার তুলনায় খুবই ছোট ছিল তবে এই অর্থনীতির ছিল অনেক বড় সমস্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের  পূর্বে মদিনা প্রধানত তিনটিগত্রে বিভক্ত ছিলআউসখাজরাজ এবং ইহুদি এই তিনভাগের মধ্যে আউস এবং খাজরাজরা ছিল আরব আদিবাসী  এই দুই গোত্রের মধ্যে বহু বছর ধরেই লড়াই চলে আসছিল তাদের লড়াইয়ের কারণে শুধু জীবনই নষ্ট হয়েছে তা নয় এদের ব্যবসা অর্থনীতিও প্রভাব পড়েছে গোত্রীয় যুদ্ধের কারণে যদি খাজরাজ গোত্র মদীনায় বাজার তৈরি করতো, তাহলে আউসরা সেখান থেকে কিছুই কিনতো না আবার আউসরা বাজার তৈরি করলে খাজরাজ গোত্র সেখান থেকে কিছুই কিনতো না তবে এই দ্বন্দ্ব থেকে সব থেকে বেশি সুবিধা লাভ করে ইহুদী গোত্র   সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ইহুদিরাই তাদের এলাকায় মদিনার প্রধান বাজার গড়ে তুলেছিল মদিনার সবাই যেহেতু সেই বাজার থেকেই তাদের জিনিসপত্র কিনত ফলে মদিনার পুরো অর্থনীতি চলতো এই ইহুদীদের বাজারের উপর আর তারা মদিনার পুরো অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রণ শুরু করে আর তারা সব সময় এমন কিছু ষড়যন্ত্রের জাল বুনত যাতে আরবদের মধ্যে এই যুদ্ধ কখনোই শেষ না হয় কারণ ইহুদীরা জানতো যে, এই আউস খাজরাজের মধ্যকার যুদ্ধেও যদি শেষ হয় তবে ইহুদীদের এক চেটিয়া অর্থনীতিও ভেঙ্গে পড়বে


(toc) #title=(বিষয় বস্তু)

মদিনায় ন্যায় ভিত্তিক এক বাজার ব্যবস্থা উত্থানের গল্প


মদিনায় হিজরতকালে মুহাজিরদের অবস্থা 

যখন রাসুলুল্লাহ () মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, তখন শুধুমাত্র দরিদ্র সাহাবিগণই তার সাথে আসেননি, বরং কিছু অতি ধনী ব্যবসায়ীও আসেন, যার মধ্যে শীর্ষস্থানীয় আবদুর রহমান বিন আউফ এবং হজরত উসমান (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ), যিনি মক্কার অন্যতম ধনী ব্যক্তি ছিলেন এবং যিনি মক্কায় সবকিছু ছেড়ে রাসুলুল্লাহ () সঙ্গে মদিনায় হিজরত করেন মদিনায় হিজরতকারীদের থাকার জায়গা ছিল না, ব্যবসাও ছিল না, তাই রাসুলুল্লাহ () মক্কা থেকে আসা মুহাজিরদের মদিনার আনসারদের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন মক্কার অন্যতম ধনী ব্যক্তি আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) কে মদিনার অন্যতম ধনী ব্যক্তি সা বিন রাবি (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) সাথে থাকতে দেওয়া হয় সা' বিন রাবি‘ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) যা কিছু ছিল, তার অর্ধেক তিনি আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) কে দিতে চান রাসুলুল্লাহ () আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ)কে গ্রহণ করার অনুরোধ করেন কিন্তু আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার এই সব কিছুর দরকার নেই, আপনি শুধু মদিনার বাজারের পথ দেখিয়ে দিন তিনি আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) কে মদিনার বাজারে পাঠান যখন তিনি তাকে ইহুদি বাজারে নিয়ে আসেন, তিনি দেখেন যে মদিনার পুরো অর্থনীতি ইহুদিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এই পুরো একচেটিয়া শাসন করে একজন ইহুদি, আবু রাফি, যিনি পুরো বাজারের দাম নির্ধারণ করেন, যা শুধুমাত্র ইহুদিদের লাভবান করে এবং আরবদের ক্ষতিগ্রস্ত করে

মদিনার তৎকালীন অর্থনীতি 

যখন রাসুলুল্লাহ () মদিনায় হিজরত করেন, তখন তাঁর নজরে পড়েছিল যে ইহুদিরা মদিনার অর্থনীতি তিনটি উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করছিল: এক চেটিয়া বাজার, সুদ ভিত্তিক ঋণ বিনোদন আজও ঠিক একই ভাবে বিশ্ব বাজারে ইহুদিদের প্রভাব রয়েছে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মদিনার আরবরা কেন কোনো প্রতিরোধ করেনি? এর কারণ হিসেবে বলা যায় যে, ইহুদিরা উচ্চ সুদে আরব নেতৃবৃন্দকে এত বড় ঋণ দিয়েছিল যে, তারা সেই ঋণের বোঝায় পড়ে তারা ইহুদিদের কাছে বশ হয়ে গিয়েছিল এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে যাবার সাহস দেখাত না এই সুদ-ব্যবসা আজও চলমান, ফলে মুসলিম বিশ্বের অনেক অংশই আর্থিকভাবে অন্যান্য কারণে ইহুদিদের উপর নির্ভরশীল

ইহুদিদের দ্বিতীয় অন্যতম কৌশল ছিল বিনোদন ধারণা করা হয় যে, ইহুদিরা গান, নাচ খেলাধুলা দিয়ে আরবদের মনোযোগ বিভ্রান্ত করে রাখত, যাতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষমতার এই অসাম্য তারা বুঝতে না পারে আজও বিশ্ব বিনোদন শিল্পে ইহুদিদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে, বিশেষ করে হলিউড এবং পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে এছাড়া, মদিনার মদ্য শিল্পও তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা থেকে তারা প্রচুর অর্থ লাভ করত


ইহুদিদের মদিনায় অর্থনীতির নিয়ন্ত্রন


ইসলাম পরবর্তী মদিনার অর্থনীতি 

হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে  ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করেন হিজরতের পর, যখন মদীনার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম হয়, তখনও ইহুদিরা সুদের মাধ্যমে মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু কুরআনে আল্লাহ সুদ নিষিদ্ধ করেন এবং সুদভিত্তিক লেন-দেন এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় আয়াত নাজিল হয় এরপর মদীনার সমস্ত মুসলিম ইহুদিদের কাছ থেকে সুদ নেওয়া বন্ধ করে দেয় এরপর প্রথমবারের মতো মদীনার জনগণ ইহুদীদের সুদভিত্তিক অর্থনীতির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয় এর ফলে ইহুদীদের অর্থনৈতিক শক্তির একটি বড় অংশ ভেঙে পড়েছিল ইসলাম গ্রহণের পর, মদিনার মুসলিমরা তাদের পুরানো সমস্ত জাহেলিয়াতের প্রথার অবসান ঘটায় এবং কুরআনও ধীরে ধীরে মদ নিষিদ্ধ করে এরপর ইহুদিদের সব নির্লজ্জ জায়গা রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যায় এটি জোর করে বন্ধ করা হয় নি, বরং কোনো মুসলিম সেখানে যেত না বলে ইহুদিদের আয়ের আরেকটি বড় উৎস হারিয়ে যায়


মদিনায় ইহুদিদের অর্থনীতির তৃতীয় খুটির অর্থাৎ এক চেটিয়া বাজার ব্যবস্থা সামনে টিকে থাকার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে প্রধানত দুটি কঠিন পথ ছিল:

 

  1.    ইহুদি বাজার পণ্যের পুরোপুরি বয়কট: এই পথটি দ্রুত ফল দিতে পারত কিন্তু সমাজে বিভেদ উত্তেজনার কারণ হতে পারত
  2.      ইহুদি বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: এই পথটি অনেক বেশি কঠিন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনতে পারে

মদিনার নতুন বাজার বাবস্থা

রাসুলুল্লাহ () দ্বিতীয় পথটি বেছে নেন তিনি মদিনার মসজিদ নববীর কাছেই একটি নতুন বাজার নির্মাণ করেন এই বাজারটি পুরানো ইহুদিদের বাজারের চেয়ে প্রশস্ত সুবিন্যাসিত ছিল এখানে দোকানের মাঝে দুটো উট (আজকের দিনে দুটো গাড়ি) চলাচল করার মতো জায়গা রাখা হয় এছাড়াও, এই বাজারে একটি নিয়মিত পুলিশ ব্যবস্থা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা হয়, যাতে কেউ কাউকে ঠগাতে না পারে এই পদক্ষেপের সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ () মদিনার মানুষদের ব্যবসার প্রতি উৎসাহিত করেন তিনি ঘোষণা করেন যে, ব্যবসা করা আল্লাহর পথে জিহাদ করার মতোই  এভাবে তিনি ব্যবসাকে শুধু জীবিকার উপার্জনের উপায় না, বরং ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করেন এই উৎসাহনার ফলস্বরূপ মদিনার মানুষ, বিশেষ করে যুবকরা ব্যবসার দিকে ঝুঁকতে শুরু করে তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে নতুন বাজারটি ধীরে ধীরে ইহুদি বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করে এবং ক্রমেই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে

ইহুদীদের বাজারে বাইরে থেকে যারা আসত তাদের সাথে ইহুদীরা সবসময় প্রতারণা করত এবং তাদের কম টাকা দিত, কিন্তু মুসলমানদের বাজারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত মানুষকে সম্পূর্ণ সমান সমান অধিকার দিয়েছিলেন, যার ফলে সমস্ত কাফেলা বাজারের দিকে আসতে থাকে

 ইহুদিদের এক চেটিয়া বাজারের পরিবর্তে মুসলমানদের প্রতিযোগিতামুলক এবং সমঅধিকার সম্পন্ন বেশি প্রতিষ্ঠা পায় এবং ধীরে ধীরে মুসলমানদের বাজারের অর্থনৈতিক উন্নতি হতে থাকে ধনী লোকেরা বাজারে গরিবদের উপর অত্যাচার করতে পারত না কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছছিলেন যে, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তাকে বেতন দিতে হবে, যা দিন মজুরের জন্য এক অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল, কিন্তু এই টাকা নিয়ে শ্রমিক যেত কোথায়? সে গিয়ে মদিনার এই বাজার থেকে অন্য কিছু কিনতো যার ফলে মুসলমানদের বাজারে খুব দ্রুত লেনদেন হতে থাকে এবং এই বাজারে মানুষের মধ্যে নগদ অর্থের প্রবাহ খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের এই বাজারটি ইহুদীদের বাজারকে ছাড়িয়ে যায়

অর্থনৈতিক পরাজয়ে ইহুদিদের কুটকৌশল

আবদুর রহমান বিন আউফ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) ইহুদিদের বাজারে আবু রাফায়ের ক্ষমতার অবসান ঘটিয়ে তিনি সেখানে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন এবং এভাবে মদিনার মুসলমানরা ইহুদিদের চেয়ে বেশি অর্থ পেতে শুরু করে কিন্তু তারা ইহুদিদের মতো তাদের অর্থ জমা না করে বরং বিতরণ করে অন্য দরিদ্র মুসলমানদের কাছে হজরত উসমান (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) মতো যিনি তার ব্যবসার শক্তিতে একজন ইহুদির কাছ থেকে একটি কূপ কিনে মদিনার মুসলমানদেরকে একেবারে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করেছিলেন, কিন্তু ইহুদিরা এসব দেখে মোটেও খুশি হয়নি কারণ আগে তারা মনে করেছিল মুসলমানরা তাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না বরং দরিদ্র মুসলমানরা তাদের কাছে থেকে সুদে অর্থ কর্য নিবে এবং কর্যক্রীত অর্থ ফেরত দিতে না পেরে ইহুদিদের গোলামী করবে ফলে ইহুদিদের আরও বেশি অর্থ উপার্জন হবে তাই মুসলমানরা যখন মদীনায় হিজরত করে তখন ইহুদীরা মুসলমানদের সাথে চুক্তি করে যে, তারা কখনো মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাউকে সমর্থন করবে না, কিন্তু যখন তারা দেখল যে, মুসলমানরা তাদের প্রতারনা-মুলক অর্থনীতিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে, তখন কয়েক বছর পর সে চুক্তি ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধে মক্কার লোকদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমর্থন করেন, এরপর মুসলমানরা তাকে শাস্তিও দেন কোন প্রকার যুদ্ধ এবং কোন প্রকার জবরদস্তি ছাড়াই মদিনার ইহুদীদের অর্থনীতি চিরতরে ধ্বংস হয়ে যায় এবং মদিনার সমগ্র অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ রাসূলুল্লাহ ()-এর হাতে চলে আসে

মুসলিম খিলাফতের অধীনে মদিনার বাজার

কয়েক বছর পর, হযরত উমর (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) খিলাফতের অধীনে, রোমান এবং পারস সাম্রাজ্যে জয় পেতে পেতে মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপার পাওয়ার হয়ে উঠে মদীনা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী শহর হয়ে উঠে এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাজারটি হয় মদীনার এই বাজার যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দীর্ঘ এবং কঠিন কাজের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এই বাজারেই ব্যবসা করা লোকরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধনী ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছিলেন ধীরে ধীরে, মদীনার এই বাজার থেকে মানুষরা বিশ্বের সারা জগতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিক্ষামূলক নীতি অনুসরণ করে ব্যবসা করতে শুরু করে, যার ফলে বিশ্বের বহু মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামের দিকে আসতে শুরু করে আজকের বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে মুসলিম ব্যবসায়ীদের ইতিবাচক ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না একই ভাবে বাংলাদেশে ইসলামের গোড়াপত্তন মুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই হয়েছিল প্রকৃতপক্ষে, মুসলিম ব্যবসায়ীদের নৈতিকতা, সততা সামাজিক দায়িত্ববোধ অনেক মানুষের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেছে এই যুগে এসেও ইহুদীরা সেই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমেই সমগ্র বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তা ভঙ্গ করা সম্ভব কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নতকেই অনুকরণ করে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!